ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-এ চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সূচকের এই পতন ২০২৩ সালের পর সবচেয়ে বড় একদিনের পতন বলে জানিয়েছে বিশ্লেষকরা।
সূচক পতনের চিত্র:
সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এক দিনে ১২৮ পয়েন্ট হারিয়েছে, যা শতকরা হিসাবে প্রায় ১.৯৮%। লেনদেনের পরিমাণও কমে দাঁড়িয়েছে ৬৫০ কোটি টাকা, যা গত মাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
সিএসই-তেও একই ধরণের পতন দেখা গেছে, যেখানে বেশিরভাগ শেয়ারই লাল সংকেতে দিন শেষ করেছে।
কেন এই ধস?
বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েকটি কারণ একত্রে এই ধস সৃষ্টি করেছে:
মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি এবং সুদের হারের সম্ভাব্য বাড়তি চাপ
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য হ্রাস
রাজনৈতিক অস্থিরতার শঙ্কা
বড় করপোরেট হাউজের প্রফিট-টেকিং প্রবণতা
বিনিয়োগকারীদের প্রতিক্রিয়া:
পুঁজিবাজারে পতনের সঙ্গে সঙ্গে অনেক খুচরা বিনিয়োগকারী ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ঢাকা শহরের মতিঝিল এলাকায় স্টক ব্রোকার হাউজগুলোতে ভিড় বেড়েছে, যেখানে অনেকেই হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
“মাত্র কয়েকদিন আগেই নতুন করে বিনিয়োগ করেছিলাম, এখন বড় ক্ষতির মুখে।”— বললেন আব্দুল মতিন, একজন খুচরা বিনিয়োগকারী।
বাজার বিশ্লেষকদের পরামর্শ:
বিশ্লেষকরা বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলছেন, এমন মন্দা বাজারে হঠাৎ সব শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আরও বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
বাজার বিশ্লেষক মাহমুদ হাসান বলেন,
“এটি একটি স্বাভাবিক শোধন প্রক্রিয়া হতে পারে। যারা দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করেন, তাদের আতঙ্কিত না হয়ে বাজার পর্যবেক্ষণ করা উচিত।”
📉 সংক্ষেপে:
✅ ডিএসই সূচক পতন: ১২৮ পয়েন্ট
✅ লেনদেন কমে: ৬৫০ কোটি টাকা
✅ প্রধান কারণ: অর্থনৈতিক চাপ, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা
✅ বিনিয়োগকারীদের মাঝে ভয় ও আতঙ্ক