মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র চুক্তি ও তেলনীতি নিয়ে নতুন সমীকরণ

মধ্যপ্রাচ্য আবারও নতুন ভূ-রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সৌদি আরব, ইরান, এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যে সাম্প্রতিক অস্ত্র চুক্তি ও তেলনীতিতে পরিবর্তন নিয়ে যে কূটনৈতিক আলোচনা ও কার্যক্রম চলছে, তা শুধু আঞ্চলিক নয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও নিরাপত্তা কাঠামোয় প্রভাব ফেলছে।

🔫 অস্ত্র চুক্তির পরিবর্তিত চিত্র:
সৌদি আরব সম্প্রতি চীনের সঙ্গে ৪ বিলিয়ন ডলারের একটি আধুনিক ড্রোন ও মিসাইল প্রযুক্তি চুক্তি করেছে, যা ঐতিহ্যবাহী মার্কিন-নির্ভরতা থেকে বিচ্যুতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। অন্যদিকে, ইরানও রাশিয়ার কাছ থেকে নতুন প্রজন্মের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে:
“মধ্যপ্রাচ্যের অস্ত্র ভারসাম্যে পরিবর্তন হলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।”

🛢️ তেলনীতি ও ওপেক+ এর নতুন কৌশল:
ওপেক প্লাস (OPEC+) সদস্য দেশগুলো, বিশেষ করে সৌদি আরব ও রাশিয়া, উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে। এই নীতির মাধ্যমে তারা বিশ্ববাজারে প্রভাব বজায় রাখতে চায়।

ইতোমধ্যে ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল ৯৫ ডলারের ঘরে পৌঁছেছে, যা বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির শঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের তেলনীতি মূলত জিও-ইকোনমিক চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবেও কাজ করছে।

🌐 নতুন সমীকরণ ও মিত্রতা:
চীন ও সৌদি আরবের সম্পর্ক গভীর হচ্ছে

রাশিয়া-ইরান সামরিক সহযোগিতা বাড়াচ্ছে

সংযুক্ত আরব আমিরাতও নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে মাল্টি-অ্যালায়েন্স কৌশল গ্রহণ করছে

🗣️ বিশ্লেষকদের মতামত:
মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক ড. সালেহ হাকিম বলেন,
“মধ্যপ্রাচ্য এখন কেবল জ্বালানির উৎস নয়, একটি স্ট্র্যাটেজিক প্যাভিলিয়ন—যেখানে প্রতিটি চুক্তির পেছনে ভূ-রাজনৈতিক বার্তা লুকিয়ে আছে।”

📌 সংক্ষেপে:
✅ সৌদি আরব-চীন ও ইরান-রাশিয়া অস্ত্রচুক্তি
✅ ওপেক+ তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে
✅ আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি সংকট ও মূল্য বৃদ্ধি
✅ যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের কৌশলগত উদ্বেগ